পরিচিতি
বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংঘ হলো হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শে গড়ে ওঠা এক ধর্মীয় সংগঠন, যার মর্মবাণী—ভক্তি, সমতা, শিক্ষা ও মানবকল্যাণ।


সংগঠন সম্পর্কেঃ
বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংঘ হলো হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শে গড়ে ওঠা এক ধর্মীয় সংগঠন, যার মর্মবাণী—ভক্তি, সমতা, শিক্ষা ও মানবকল্যাণ। সংগঠনের আধ্যাত্মিক কেন্দ্র শ্রীধাম ওড়াকান্দি (গোপালগঞ্জ); এখানেই উনবিংশ শতাব্দীর দিকে মতুয়া সংস্কার-আন্দোলনের সূচনা এবং আজও বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ, কীর্তন হয়ে থাকে।
মহাসংঘের কাজের পরিধি তিনটি স্তম্ভে স্পষ্ট:
ধর্মীয় চর্চা—সমবেত হরিনামের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি ও ভক্তি-আচরণ;
শিক্ষা-সমাজসেবা—স্কুল/প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসচেতনতা, ত্রাণসহ মানবকল্যাণ;
সংগঠন—কেন্দ্র থেকে জেলা-উপজেলা হয়ে গ্রাম পর্যায়ে শাখা, পরামর্শদাতা ও স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্ক। এই কেন্দ্রিক জীবনচর্চার ফলেই ওড়াকান্দি তীর্থকে ঘিরে বারুণী স্নান ও মহামেলা প্রতি বছর বহু ভক্তকে একত্র করে।
তরুণদের সম্পৃক্ত করতে বাংলাদেশ ছাত্র-যুব মতুয়া মহাসংঘ নিয়মিত বিভিন্ন সম্মেলন ও স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম আয়োজন করে থাকে।
সংগঠনের প্রশাসনিক কাঠামোয় বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটিতে রয়েছেনঃ
সভাপতিঃ শ্রী সুব্রত ঠাকুর
মহাসচিবঃ শ্রী সাগর সাধু ঠাকুর
সারকথা, বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংঘ শুধু একটি ধর্মীয় সংগঠন নয়; এটি এক সমাজ-উন্নয়নমূলক আন্দোলন, যেখানে ভক্তি-আধ্যাত্মিকতা ও ন্যায়-সমতার সামাজিক দর্শন একই সুতোয় বাঁধা। তীর্থ-উৎসব, শিক্ষা-সামাজিক উদ্যোগ এবং যুবসমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ—সব মিলিয়ে মহাসংঘ আজও দেশ-বিদেশের ভক্তসমাজকে একাত্ম করে রেখেছে।
ইতিহাস
উৎপত্তি (ঊনবিংশ শতক): গোপালগঞ্জের শ্রীধাম ওড়াকান্দিকে কেন্দ্র করে হরিচাঁদ ঠাকুর ভক্তি, সমতা ও মানবকল্যাণের আদর্শে মতুয়া সংস্কার-আন্দোলন শুরু করেন। ভক্তসমাজকে এক ছাতার নিচে আনতে “মতুয়া মহাসংঘ” নামে সংগঠনীয় কাঠামো গড়ে ওঠে; ওড়াকান্দিই থাকে আধ্যাত্মিক কেন্দ্র।
প্রতিষ্ঠাকালঃ
১৮৬০
স্থান
মহাতীর্থী শ্রীধাম ওড়াকান্দি, গোপালগঞ্জ